এখন মাঘের খুব কাছাকাছি দেশ। আজ শুক্রবার ১২ জানুয়ারি জানান দিচ্ছে যেন সেই বার্তা। পৌষের শেষভাগে চার জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। হিম হাওয়ায় কাঁপছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। রাজধানীর সকালও ছিল কুয়াশার চাদরে ঢাকা।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। শীতের প্রভাবে রাজধানীর তুলনায় দেশের উত্তরবঙ্গের জনজীবনে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় কমে আসছে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কয়েক গুণ বাড়িয়েছে শীতের অনুভূতি।
এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার সংলগ্ন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থার বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ জানান, এই সময়ে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।